নাটোরে ইমো হ্যাকার চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার


মো. আব্দুস সালাম, নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর থানার থানাধীন বিলমাড়িয়া বাজার এলকা হতে ইমো হ্যাকার চক্রের  ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার নাটোর ক্যাম্প, র‌্যাব-৫ এর কোম্পানী অধিনায়ক, অতিঃ পুলিশ সুপার, মোঃ ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার, মোঃ রফিকুল ইসলাম দ্বয়ের নেতৃতে ৯ টি মোবাইল সিমকাড, ফেন্সিডিল, ডিভিআর সেট, নগদ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজশাহী জেলার বাঘা থানার খানপুর গ্রামের মৃত শামসেদ মন্ডলে ছেলে বেলাল মন্ডল (২৯), নাটোর জেলার লালপুর থানার মোহরকয়া গ্রামের শাহাবুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪), ইয়াসিন আলীর ছেলে  রবি (২২), ওই গ্রামের খাঁ-পাড়ার মঞ্জুর রহমানের ছেলে মোহন সরকার (১৯), মনিহারপুর গ্রামের মাজদারের ছেলে শিমুল আলী (১৯), ভাঙ্গাপাড়ার নূর আলমের ছেলে শাহ পরান সরকার (১৯), নাগসোসা গ্রামের রিফাজের ছেলে মোঃ রুবেল (৩২)।
র‌্যাব সূত্রে  জানাযায়,  ভূক্তভোগী মনিরুল ইসলাম (৩৮) কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার কচুয়াদহ কামিরহাট গ্রামের মোঃ দবির মন্ডলের ছেলে। মনিরুলের চাচাতো ভাই মোঃ ওয়াসিম একজন সৌদি প্রবাসী। গত ২৫ অক্টোবর তার চাচাতো ভাই এর ইমো আইডি হতে ভূক্তভোগীর ইমো আইডিতে শ্রমিকের বিল দেওয়ার জন্য মেসেজ আসে এবং একটি বিকাশ নম্বর দেয়। ভূক্তভোগী উক্ত মেসেজের প্রেক্ষিতে সরল বিশ্বাসে প্রেরিত বিকাশ নম্বরে প্রথম ২১ হাজার ৫০০ টাকা প্রেরণ করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রেরিত বিকাশ নম্বর গুলোতে সর্বমোট ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬০ টাকা পাঠায়। পরে মনিরুল জানতে পারে তার চাচাতো ভাই ওয়াসিমের ইমো একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। তখন ভূক্তভোগী র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।
গ্রেফতাকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের "ইমো" ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিচিত জনদের নিকট হতে প্রতারণা পূর্বক মোবাইল ফিন্যান্সিং সার্ভিস (বিকাশ) এর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে ভূক্তভোগী বাদী হয়ে নাটোর জেলার লালপুর থানায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২০/২৪/৩৪/৩৫ ধারায় মামলা রুজু করেন।

Comments